মাহফুজ আহম্মেদ,কুমিল্লা: | শুক্রবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৮
ভাইরাস জনিত জ্বরের আতংকিত না হওয়ার পরামর্শ ,একান্ত সাক্ষাৎকারে কুমিল্লা ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাঃগোলাম সারোয়ার ।
তিনি জানান , আসছে শীত কাল আর শীতে শুরুতেই কিছু শারীরিক সমস্যার আগমন ঘটে যার মধ্যে জ্বর হল একটি প্রধান সমস্যা। এই জ্বরের প্রথম ও প্রধান কারণ হল ভাইরাস। বর্তমানে ভাইরাস জ্বর একটি সাধারণ স্বাস্থ্য সমস্যায় পরিণত হয়েছে। জীবনে কখনো ভাইরাসজনিত জ্বর হয়নি এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ডেঙ্গু, জন্ডিসসহ যে কোনো ভাইরাসজনিত জ্বরকে ‘ভাইরাস জ্বর’ বলা হয়। সাধারণত ভাইরাস আক্রমণের দুই থেকে সাত দিন পর এই জ্বর হয়। এই জ্বর হলে শীত শীত ভাব, মাথা ব্যথা, শরীরে ও শরীরের গিরায় গিরায় ব্যথা, খাওয়ার অরুচি, ক্লান্তি, দুর্বলতা, নাক দিয়ে পানি পড়া, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, সারা শরীরে চুলকানি,অস্থিরতা ও ঘুম কম হওয়া-এসব লক্ষণ দেখা দেয়। বর্তমানে চিনকগুনিয়া নামক এক ধরনের ভাইরাস জ্বরের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে যাতে উপরোক্ত লক্ষণগুলোও দেখা যায়। ভাইরাস জ্বর সাধারণত তেমন কোনো ভয়াবহ রোগ নয়। তাই ভাইরাস জ্বর হলে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। এ জ্বরের জন্য কোনো অ্যান্টিবায়োটিক জরুরি নয়।তবে এই রকম জ্বর হলে কোন ধরনের ব্যাথার ঔষধ খাওয়া যাবে না।জ্বরের জন্য প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ খেলেই হয়। সেই সঙ্গে প্রচুর পরিমান পানি পান করা ও পর্যাপ্ত পরিমাণে বিশ্রাম প্রয়োজন। ভাইরাস জ্বর হলে খাবারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। খাবারের মধ্যে ভিটামিন সি ও জিঙ্কযুক্ত খাবার প্রাধান্য দিতে হবে। তরল জাতীয় খাবার যেমন, স্যুপ, ফলের শরবত, স্যালাইন, লেবুর শরবত, ডাবের পানি খেতে হবে। রোগীকে সব সময় মশারির নিচে রাখতে হবে। গলা ব্যথা থাকলে কুসুম গরম পানি খেতে হবে। কিছুক্ষণ পর পর শরীর পাতলা গামছা বা কাপড় দিয়ে স্পঞ্জ করতে হবে ও মাথায় পানি দিতে হবে। শরীর গরম হলেই থার্মোমিটার দিয়ে তাপমাত্রা মেপে ওষুধ খেতে হবে। সাধারণত: ভাইরাস জ্বর ৩-৫ দিন পর্যন্ত থাকে। যদি জ্বরের স্থায়িত্বকাল ৪-৫ দিনের বেশি হয় তাহলে অবশ্যই দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
ডাঃগোলাম সারোয়ার
এমবিবিএস,ডি-অর্থো কনসালটেন্ট ট্রমা ও অর্থোপেডিক্স বিভাগ
ইস্টার্ন মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল,কুমিল্লা ।